ক্রমশ জোরালো হয়েছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই বেশ কিছু জেলায় হালকা বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। যত সময় বাড়ছে ততই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। এই ঘূর্নিঝড়ের অবস্থান এখন দীঘা থেকে ৬৩০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে।
আগামীকাল বিকালে দীঘায় বাংলাদেশের হাতিয়া আই ল্যান্ডের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করবে এই ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড় আমফান যখন প্রবেশ করবে তখন তার গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ১৫০ থেকে ২০০ কিমি। পাশাপাশি সমুদ্রে তীব্র জলোচ্ছ্বাস থাকবে। হাওড়া, হুগলি, কলকাতার উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যেতে পারে ১০০ থেকে ১৩০ কিমি গতিবেগে। পাশাপাশি, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় রয়েছে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়।
ঘূর্ণিঝড় আমফান আসার আগে শহরবাসীকে সতর্ক করতে রাস্তায় নামল কলকাতা পুলিশ। তারা বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং এর মাধ্যমে সতর্ক করে এলাকাবাসীদের। জানানো হয় ১) শহরবাসীকে ঝড়ের সময় কোনো ভাবেই বাড়ির বাইরে রাস্তায় না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়। ২) বাড়িতে জল, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার এবং মোমবাতি মজুত রাখার কথা বলা হয়। ৩) মোবাইল ফোন চার্জ রাখা এবং এমেরজেন্সি আলোর ব্যবস্থা রাখার জন্য।
এদিন শহরে প্রত্যেকটি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি এবং ডিভিশনাল ডিসিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রত্যেকটি ডিভিশনের বিশেষ কন্ট্রোলরুম খোলার নির্দেশ দেন তিনি। মানুষ যাতে ঝড়ের সময় গাছের নিচে গাড়ি পার্কিং না করে সেটাও নিশ্চিত করার কথা বলেন তিনি।