একদিকে যখন করোনা অতিমারীতে ভুগছেন গোটা দেশের মানুষ। অন্যদিকে ডায়েরিয়ার থাবা বসিয়েছে বীরভূম জেলার খয়রাশোল ব্লকের পাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪টি গ্রামে। আমাজলা, রানীপাথর, বাগাসোলা, পাথরকুচি এই চারটি গ্রামে এখনও পর্যন্ত ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫০ জন মানুষ। পাশাপাশি ১০ থেকে ১২ জন মানুষের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাঁদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়েছে। তাছাড়াও কয়েকজনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়। তাই আজ রানীপাথর গ্রামে নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছেন। যাঁরা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের চিকিৎসা করে ওষুধপত্র দেওয়া হচ্ছে। এদিন ডা. উৎপল রক্ষিত জানান, আমরা দুদিন আগে এই রোগ সম্পর্কে জেনেছি। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা গ্রামে গ্রামে সচেতন করছেন। আমরা জানতে পারলাম জল দূষিত হওয়ার জন্যই এই রোগের প্রাদুর্ভাব। আমরা এখন মেডিকেল ক্যাম্প করে চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছি। অন্যদিকে বর্ণালী দাশ নামে গ্রামের এক গৃহবধূ জানান, প্রধান সমস্যা হল জলের। আমাদের এখানে পুকুরের জল একেবারে দূষিত হয়ে পড়েছে। আমরা পান করার জন্য কুঁয়োর জলও সেরকম ভাবে ব্যবহার করতে পারি না। ফলে গ্রামে ১৫০ জনের মত মানুষ ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৮ জন হাসপাতালে ভর্ত্তি আছেন। গ্রামে এখন ডাক্তারবাবুরা এসেছেন চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছেন। পাশাপাশি অমর রুইদাস নাম এক ব্যক্তি জানান, চার-পাঁচ দিন ধরে গ্রামে ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়েছে। আমাদের রানীপাথর গ্রামে পানীয় জলের অবস্থা খুবই খারাপ। কিন্তু ঐ জলই আমরা ব্যবহার করছি। ফলে আমাদের সবার ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। তাই আমরা যে এই পানীয় জল পান করতে পারছি না বা পান করে শরীর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্ত্তি হতে হচ্ছে। কিন্তু সেখানেও ঠিকভাবে পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সরকারকে এটার দায়িত্ব নেওয়া খুব দরকার।
More Stories
যাত্রীচাপ সামলাতে পরিষেবা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ
দক্ষিণবঙ্গে শীতের ছন্দপতন
30 ডিসেম্বর সন্দেশখালি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী