
আতঙ্ক যেনো পিছন ছাড়ছে না মুর্শিদাবাদ ফরাক্কার কুলিডিয়ার চড়ের এলাকা বাসিন্দাদের।
আবারো শুরু হলো মুর্শিদাবাদ ফরাক্কার কুলিডিয়ার চড়ের গঙ্গা ভাঙ্গন, স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য গত দুই দিন ধরে আবারো সামান্য পরিমানে শুরু হয়েছে গঙ্গা ভাঙ্গন, আসতে আসতে এই সামান্য পরিমান গঙ্গা ভাঙ্গন কখন ভয়াভহ রূপ ধারণ করে ফেলবে সেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ফরাক্কা কুলিডিয়ার চড়ের বাসিন্দারা।
ইতি মধ্যে নদীর কিনারে বাড়ি গুলো ভেঙে অন্যত্রে নিয়ে যাওয়া শুরু করছে বাসিন্দারা,ফরাক্কার হোসেনপুর কুলিডিয়ার চড়ের গঙ্গা ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটি সম্পাদক আসিভ ইকবাল জানান গঙ্গা ভাঙ্গন প্রতিরোধ করার জন্য রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকার কে বলা হয়েছে, কিন্ত গত বছর সময়ের মধ্যে রাজ্য সরকার গঙ্গা ভাঙ্গন প্রতিরোধ করার জন্য কোনো কাজ না করলেও গঙ্গা ভয়াভহ রূপ ধারনের পর জরুরি সময় ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ শুরু করে, কিন্তু ফরাক্কা ব্যারেজের তরফ থেকে কোনো কাজ করা হয়নি। গত বছর গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে গেয়ে ছিলো হোসেনপুর চড়ের কিছু অংশ, কুলিদিয়ার চর এলাকার সূর্যমন্ডলপাড়া,ঠাকুরদাস মন্ডলপাড়া,মেঘনাথ মন্ডলপাড়া,পোরাপাড়া এলাকার বেশ কিছু অংশ মিলিয়ে প্রায় ২০০ পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে।তার মধ্যে রয়েছে কুলিদিয়ার MSK স্কুল, হোসেনপুর ICDS সেন্টার,কুলিদিয়ার স্বাস্থ্য কেন্দ্র গত বছর গঙ্গা ভাঙ্গনে তলিয়ে গেছে।
এই বছর যদি ফরাক্কা কুলিদিয়ার চড়ের গঙ্গা ভাঙ্গনের সঠিক ভাবে সঠিক সময় ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে হোসেনপুর,নারায়ণমন্ডল পাড়া,সাহেদ আলীপাড়া, পারশুজাপুর এলাকা মিলে প্রায় ৫০০ পরিবার এবার ভিটেমাটি হারাবে।তার মধ্যে রয়েছে ৫টা রয়েছে প্রাইমারি স্কুল, ২টো ICDS সেন্টার ।
যদিও চলতি মাসে ১৮ তারিখে মুর্শিদাবাদ ফরাক্কার হোসেনপুর ও কুলিডিয়ার চড়ের গঙ্গা ভাঙ্গন পুরো বিষয় নিয়ে সেচ দপ্তরের মন্ত্রী সামিনা ইয়াসমিন কে একটি স্মরকলিপির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি অবিলম্বে প্রশাসন তরফ থেকে যেনো পাকাপাকি ভাবে এই গঙ্গা ভাঙ্গনের জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা সহ পুরান বাসনের ব্যবস্থা করা হোক।
More Stories
অক্ষয় তৃতীয়ায় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা, দ্বারোদঘাটন
নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকতে পারে উত্তর-পশ্চিম ভারতে
আগামী দু’মাস তীব্র দহনজ্বালা