নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল ও সন্দেশখালিঃ শিক্ষকতা নিছক একটা পেশা নয়, একটি সামাজিক দায়িত্ব আর এই সমাজ গড়ার কারিগর মাস্টারমশাইরা। সেই সমাজ যখন শতাব্দীর ভয়ানক অতিমারীতে আক্রান্ত মাস্টারমশাই রা নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যায় কি করে! আবার সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল “জলে কুমীর ডাঙায় বাঘ!” প্রবচনকে মনে করিয়ে তিনশ বছরের মধ্যে ভয়ানক বিধ্বংসী আম্ফান ছড়ে অপরিসীম ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে দাঁড়িয়ে করোনার অতিমারীর মধ্যেও। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী পশ্চিমবঙ্গে করোনা মহামারীর সাথে সাথে আছড়ে পড়া আম্ফানের দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছেন সরাসরি টাকা পাঠিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আবার কমিউনিটি কিচেন বানিয়ে। ঘুর্নিঝড় বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সমস্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রশাসন। তবুও এক মাস অতিক্রম করলেও পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক নয় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ তৃনমুল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র লকডাউনের প্রায় একশ দিন ক্রমান্বয়ে পাশে দাঁড়াচ্ছেন সারা রাজ্যে শিক্ষক সংগঠনের তরফে। এর আগে আম্ফান কবলিত সুন্দরবনে স্থানীয় নববিকাশ ক্লাবের তরফে আয়োজিত কমিউনিটি কিচেনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন আসানসোলের ভূমিপুত্র অশোক রুদ্র। আজ একমাসের মাথায় অশোক রুদ্রের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক শিক্ষিকাদের তরফে দুটি গাড়ী ভর্তি আড়াই হাজার পরিবারের জন্য উনিশ টি অতি প্রয়োজনীয় শুকনো খাবারের ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আম্ফান কবলিত এলাকায় পৌঁছে গেছে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি রাজীব ব্যানার্জীর নেতৃত্বে একটি দল। লক্ষ্য প্রায় পনের হাজার মানুষের পাশে দাঁড়ানো ও সাময়িক স্বস্তি দেওয়া, এই প্রচেষ্টায় আসানসোলের মহানাগরিক জিতেন্দ্র তেওয়ারী গাড়ী দিয়েছেন, অর্থ ও শ্রম দিয়ে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা পাশে দাঁড়িয়েছেন। এই কর্মসূচি নিয়ে যুব তৃনমুল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অশোক রুদ্র জাবান, তিনি পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য গর্বিত, যেভাবে করোনার মোকাবিলায় সাহায্য করেছে আবার পাশাপাশি আম্ফানের দুর্যোগে এগিয়ে এসে সাহায্য করেছেন।অশোক রুদ্রের নেতৃত্বে চলা তৃনমুল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন ইতিমধ্যে একশোর বেশী রাজ্যজুড়ে রক্তদান শিবির, ছয় লক্ষ পরিবারকে সরাসরি খাদ্য সামগ্রী দিয়ে ও চার কোটি টাকা এমারজেন্সি ত্রাণ তহবিলে তুলে দিয়েছেন। আবার এই সংগঠনের শিক্ষক শিক্ষিকারা শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর মানবিক আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন আবার রাজ্যজুড়ে বাড়ী গিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের পড়ানোর কর্মসূচি নিয়ে সরকারের হাত শক্ত করেছেন।