মালদা , বুধবার সকাল থেকেই লকডাউন কড়াকড়ি করতেই বেপরোয়া মানুষদের কোথাও লাঠিপেটা করলো পুলিশ। আবার কোথাও কান ধরে উঠবস করানো হলো। রাজ্য সরকারের নির্দেশে এদিন লকডাউনে কড়া নজরদারি চালাতে সকাল থেকেই লাঠি হাতে রাস্তায় নামে মালদা পুলিশ । মূলত মালদা শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহলদারি চালানোর সময় অবাঞ্ছিত মানুষদের ঘোরাফেরা করতে দেখে ধরপাকড় করে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। শহরের অনেক এলাকায় মানুষদের অপ্রয়োজনীয়ভাবে যাতায়াত করার সময় ধরপাকড় করে পুলিশ। এমনকি প্রকাশ্য রাস্তায় শাস্তি হিসেবে কান ধরে উঠবস করানো হয়। পুলিশের এই কড়াকড়ি সকাল থেকে শুরু হতেই কার্যত এদিন ইংরেজবাজার এবং পুরাতন মালদা সহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট শুনসান হয়ে পড়ে। পুলিশি অভিযানে মালদা শহর থেকে কমপক্ষে ২০ জনকে আটক করা হয় বলে সূত্রের খবর।
এদিন মালদা শহরের রথবাড়ি , কোঠাবাড়ি, স্টেশন রোড, নেতাজি সুভাষ রোড, কেজে সান্যাল রোড , রাজমহল রোড সহ একাধিক এলাকায় পুলিশের ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি এলাকায় চায়ের দোকান খোলার চেষ্টা করা হলে সেখানে ধাওয়া করে দোকানিদের ধরপাকড় করে পুলিশ। বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই সব দোকান এবং চায়ের আড্ডা। রাস্তার জমায়েত বন্ধ করতে পুলিশকে কড়া হাতে ব্যবস্থা নিতে হয়।
একই রকম চেহারা ছিল পুরাতন মালদা পৌরসভা এলাকারও। এদিন পুরাতন মালদা শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় অবাঞ্ছিত ভাবে সাইকেল, মোটর বাইক নিয়ে বেড়ানো চালকদের ধরপাকড় করে পুলিশ। কয়েকজনকে আবার কান ধরে উঠবস করানো হয় । করোনা গোষ্ঠীর সংক্রমণ এড়াতে এদিন পুলিশ মাইকিং করে বিভিন্নভাবে প্রচার চালায়।
যদিও এদিন অন্যান্য দিনের লকডাউনের তুলনায় রাস্তাঘাট ছিল সম্পূর্ণ শুনসান। রাজার,হাট একেবারেই বন্ধ ছিলো। যদিও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আগাম লকডাউনের বার্তা দেওয়াই, আগেভাগেই নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বাড়িতেই মজুত করে নিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। কাজেই এদিন সেইভাবে কোথাও ভিড় বা জমায়েত হতে দেখা যায় নি । তবে পুলিশের নজর ছিল মঙ্গলবাড়ী এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। যেখান দিয়ে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করলেও প্রতিটি গাড়ি আটকে তদারকি করেছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ।
পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, লকডাউন চলাকালীন সকাল থেকেই বিভিন্ন থানা এলাকায় পুলিশের টহলদারি চলছে। অপ্রয়োজনীয়ভাবে রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচল করলে ধরপাকড় করা হচ্ছে । মাস্কবিহীন মানুষদের রাস্তায় দেখলে আটক করা হচ্ছে।