বালুরঘাট ; সারা দেশের ৩০০৬ টি টিকাকরন কেন্দ্রের পাশাপাশি এই রাজ্যের ২৮ টি জেলার ২০৮ টি প্রতিষেধক কেন্দ্রে টিকা করন সহ দক্ষিন দিনাজপুর জেলায় ছয়টি টিকাকরন কেন্দ্রে টিকাকরন শুরু হলো।
আজ সকাল ঘড়ির কাটার সাথে সময় মিলিয়ে ঠিক সাড়ে দশটাতেই বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে এই করোনার প্রতিষেধক কোভীশিল্ড ভ্যাকসিনের টিকাকরন শুরু হয়।
জেলার কোভীড যুদ্ধে প্রথম সারিতে থাকা বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক প্রদীপ কুমার ধরকে প্রথম এই প্রতিষেধক দেওয়া হয়। হাসপাতালের সিনিয়র নার্স উত্তরা হেমব্রম তাকে টিকাকরন প্রদান করেন।
ভ্যাকসিন নিয়ে বেড়িয়ে ভ্যাকসিন গ্রহিতাদের জন্য নির্দিষ্ট বিশ্রাম৷ কক্ষে বসে জেলা হাসপাতালের প্রথম টিকা নেওয়া চিকিৎসক প্রদীপ ধর হাসি মুখে জানান ভাল লাগছে যে তিনি করোনার টিকাকরনে এগিয়ে এসেছেন।তিনি চান ভয়ের কিছু নেই অন্যরাও এগিয়ে আসুন টিকা নিতে।তিনি আরো জানান তার পরিবারও তাকে এই টিকা নেওয়ার জন্য উদ্ধুদ্ধ করেছে। স্বাভাবিক ভাবে দেশের৷ এই ঐতিহাসিক দিনে টিকা নিয়ে সাকঝি থাকতে পেরে আনন্দিত।
এদিকে সকাল সাড়ে দশটার পর টিকাকরন শুরু হওয়ার পর একঘন্টায় আর ও বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্য কর্মদের টিকাকরন দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে।
দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল, গংগারামপুর মহুকুমা হাসপাতাল, কুশমন্ডি হাসপাতাল, হরিরামপুর হাসপাতাল , হিলি গ্রামীন হাসপাতাল সহ বালুরঘাট ব্লকের খাসপুর গ্রামীন হাসপাতাল থেকে আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এই টিকাকরনের কর্মসুচি চলছে। প্রতিদিন ১০০ জন করোনা যোদ্ধাকে কোভীড গাইড লাইন মেনে এই টিকাকরন করা হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সুত্রে জানা গেছে।
লকডাউন শুরুর থেকে যে সব পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, নার্স, সাফাইকর্মী থেকে করোনা হাসপাতাল ও সেফ হোমের সাথে যুক্ত থাকা সব কর্মীর পাশাপাশি সব উত্তরবংগ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থ্যার কর্মীগন স্বাস্থ্য দফতরের তালিকায় থাকা এই সব করোনা যোদ্ধাদের পর্যায়ক্রমে আজ থেকে এই ছয়টি টিকাকরন কেন্দ্র থেকে পুনে থেকে আসা কোভীশিল্ড টিকা করন শুরু করা হয়।