ভয়ঙ্কর টর্নেডো ঝড় বয়ে গেল পাত্রসায়ের থানার তালসাগড়া গ্রামের ধান জমির ওপর দিয়ে।ভয়ঙ্কর টর্নেডো ঝড়ের এই বিরল দৃশ্য এর সাক্ষী থাকলো ধান জমিতে চাষ করা বেশ কয়েকজন চাষী ও গ্রামের ফুটবল মাঠে খেলা করা কয়েকজন যুবক। তবে মিনিট পনেরোর মধ্যেই শেষ হয়ে যায় এই ঝড় টি। ধান জমি পেরিয়ে একটি বড় পুকুর এর উপর দিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই অদৃশ্য হয়ে যায় ঝড়টি। পরে পরেই শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি।তবে আচমকাই এই ধরনের ঝড় দেখতে পেয়ে এলাকার মানুষ হতভম্ব এবং আতঙ্কিত। তবে এই ধরনের মহাজাগতিক দৃশ্য সাক্ষী থাকতে পেরে খুশি গ্রামের যুব সম্প্রদায়। তারা এই ঝড়টিকে তাদের মোবাইলে ক্যামেরা বন্দী করতে পেরে অত্যন্ত খুশি।
স্থানীয় সূত্রে জানা জানা গেছে, হঠাৎই গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ প্রথমে একটি বিকট আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। বাতাস বইতে শুরু করে। ক্রমশই বাতাসের তীব্রতা বাড়ছিলো।অদূরে ধান জমির জল কুয়াশার আকার ধারণ করে সরু হাতির সুরের আকারে আকাশের দিকে উঠে যাচ্ছে। মিনিট পনেরোর মধ্যেই ধান জমির ওপর দিয়ে স্থানীয় একটি পুকুর পেরিয়ে এক কিলোমিটার প্রবাহিত হয় ঝড় টি। পরে স্থানীয়দের দৃষ্টির বাইরে বেরিয়ে যায়, শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি ।
ভয় পেয়ে মাঠে যে সমস্ত চাষিরা কাজ করছিলেন তারা বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য ছোটাছুটি শুরু করে দেন। গ্রামের কিছু যুবক এই দৃশ্য দেখে ক্যামেরাবন্দি করে। ঝড়ের প্রভাবে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি গ্রামে। আবার এই ধরনের ঝড় ফিরে আসে কিনা সে নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামে। গ্রামবাসীদের দাবি ধান জমির উপর দিয়ে ঝড় যাওয়াতে সেরকম ক্ষয়ক্ষতি না হলেও এই ঝড় লোকালয়ের উপর দিয়ে গেলে ক্ষয়ক্ষতি বাড়তো।
অবশ্য বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মীরা এর মধ্যে কোন ভৌতিক বা অলৌকিক ঘটনা লক্ষণ খুঁজে পায়নি। তাদের দাবি এটি একটি প্রাকৃতিক বিরল ঘটনা মাত্র। এটা মূলত বাতাসের উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ এর প্রভাবে তৈরি হওয়া শূন্যস্থান পূরণ করতে আসা বাতাসের তারতম্যের কারণে ঘটে থাকে। তবে এটা পুরোটাই তদন্ত সাপেক্ষে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মী।