কাঁকুরগাছির 32 নম্বর রামকৃষ্ণ সমাধি রোডের ফ্ল্যাট থেকে অমিতের একটি ল্যাপটপ ব্যাগ উদ্ধার করল ফুলবাগান থানার পুলিশ। এই ব্যাগে ল্যাপটপের পাশাপাশি মিলেছে আর একটি অব্যাবহৃত ম্যাগাজিন। শাশুড়ির পর টার্গেট ছিল শশুর । তিনি এবং বাড়ির রান্নার এক পরিচারিকা পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন। দমদম বিমানবন্দর থেকে নেমে নিজের ছেলেকে ভাইয়ের বাড়িতে ড্রপ করে একটি স্মার্ট ক্যাব বুক করে অমিত কাঁকুরগাছির এই বাড়িতে আসে। এসে কলিং বেল বাজায়। ভিতরে ঢুকেই শাশুড়িকে পানীয় জল আনতে পাঠায়। জল নিয়ে শাশুড়ি বাইরের বসার ঘরে আসা মাত্র অমিত গুলি চালায়। প্রথম গুলি পিস্তলে লক হয়ে যায় । শাশুড়ি বোঝেন, তাকে খুন করার চেষ্টা চলছে। দ্বিতীয় গুলি করতে কিছুটা সময় নষ্ট হয় কারন পিস্তল লক ছিল । সেটি আনলক করে দ্বিতীয় গুলি করা হয়। সেটি লক্ষভ্রষ্ট হয়ে দরজায় লাগে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে আরও একটু এগিয়ে এসে তৃতীয় গুলি করা হয়। প্রায় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে। সেটি কপালে লাগে। এই গুলিতেই শাশুড়ির মৃত্যু হয়। এই সুযোগে শশুর ও রান্নার কাজে নিযুক্ত পরিচারিকা পালিয়ে যান । সবাইকে খুন করে নিজেকে গুলি করার পরিকল্পনা নিয়েই এসেছিল অমিত। পর্যাপ্ত গুলি নিয়ে আসার কারন সেটাই। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।