নিজস্ব সংবাদদাতা,মালদাঃ- হবিবপুর ব্লকের অত্যান্ত গ্রামের জগজীবন পুর এলাকার বোর গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ রায়(৪৮) পেশায় স্কুল শিক্ষাক। হবিবপুর ব্লকের অন্যতম ধান চাষের উপরেই নির্ভরশীল এবার নতুন দিশা নিয়ে এলো। হবিবপুর ব্লকে তথা মালদা জেলায় প্রথম ড্রাগন ফলের চাষ করে নজর কেড়েছেন সকলের।তিনি পেশায় স্কুল শিক্ষক হলেও নতুন কিছু তৈরি করা নিয়ে আগ্রহী। হঠাৎ একদিন টিভিতে দেখে ছিলেন কিভাবে ড্রাগন ফলের চাষ করতে হয়।এবং কতটা লাভজনক ও কতটা উপকারী।তাই দেখে নার্সারিতে খোজ করেছিলেন এই ড্রাগন গাছের চাড়া নেওয়ার জন্য কিন্তু না পেয়ে টিভিতে দেখানোর সেই নম্বরে যোগাযোগ করে কলকাতা থেকে ড্রাগন গাছের চাড়া নিয়ে আসেন।ড্রাগন গাছ অনেকটা দেখতে ক্যাকটাসের মতো। চারটি গাছের লাগানোর সময় মাঝে একটি করে সিমেন্টের খুঁটি বসিয়ে তার মাথায় লোহার রিং বা মটর সাইকেলের চাকার রিং বা টায়ার লাগানো হয়। গাছগুলি মাটি থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতায় খুঁটি দিয়ে উপরে উঠে রিংয়ের চারপাশে ফোয়ারার মত ঝুলতে থাকে। সাদা, লাল ও হলুদ— তিন প্রজাতির ফুল ও ফল হয়। তবে লাল ফলের চাহিদা বেশি।বিকাশ রায় বলেন,প্রথম বছর চারা লাগানো হয় ১৮ টি চারা লাগানো পর বলা হয়েছিলো ১৮ মাস সময় লাগবে ফল আসতে হঠাৎ দেখেন তার গাছে নয় মাসে ফুল এসে গিয়েছে সেই ড্রাগন ফল হওয়া পরে তিনি সেই ফল গুলি পরিবার সহ এলাকার মানুষ খেয়ে দেখলেন সকলেই ভালো স্বাদ কথা জানালে পরে বার ফল অনেক পরিমান হয় সেই ফল প্রথম বছর ৮০০ ও ১০০০ টাকা কিলো বিক্রি করেন পরে পাইকারি মধ্যে বিক্রি করেন ৩৫০/৪০০ টাকা কিলো এই ফলের অনেক উপকার রয়েছে বিষেশ করে ডেঙ্গু রোগের খুব উপকারী তিনি আরো বলেন এই ড্রাগন ফল চাষ করলে সে ভাবে খরচ নেই যে কোন মাটিতে লাগানো যাবে বিকাশ বাবু আরো বলেন বেকার ছেলেরা যে চাকরির জন্য অনেক ছুটছে সকলেই তার পাশে এই ফল চাষ করুন অনেকটাই উপকৃত হবেন চাকরির খোঁজে সাথে সাথে বাড়িরন পাশে অল্প জায়গায় এই ফল চাষ করতে পারবেন। এই চাষের মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। বিকাশ বাবু বলেন মালদা জেলা প্রথম ড্রাগন ফল চাষ করেন সরকারি সাহায্য ছারাই।