July 27, 2024

TV Bangla New Agency

Just another WordPress site

পশ্চিমবঙ্গ তৃনমুল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে জেলায় জেলায় চালু লকডাউন পাঠশালা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোলঃ “বিশ্বে আজ মহামারী তাই শিক্ষক শিক্ষিকারা বাড়ী বাড়ী” এই আদর্শ কে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গ তৃনমুল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি ও রাজ্য প্রাথমিক ক্রীড়ার চিফ কো অর্ডিনেটর প্রাথমিক ভাবে আদিবাসী এলাকাগুলোতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ও শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জীর আবেদনে গাছ তলায় পাঠশালা চালু করেছিলেন পাঁচ থেকে বার জন ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে। গ্রাম ও শহরের লকডাউন পাঠশালার রূপে এই মুক্ত বিদ্যালয় কে বর্তমানে ধারাবাহিকভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সকল ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে প্রান্তিক গ্রাম থেকে স্মার্ট সিটিতেও ছড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর অশোক রুদ্রের নেতৃত্বে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।

যেখানে দেশে ও রাজ্যে প্রত্যেক দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের পরিসংখ্যান কে টপকে আরও উদ্বেগজনক হচ্ছে। আনলক পর্যায়ে মানুষজন ক্রমশ বেপরোয়া হয়ে ওঠছে স্বাস্থ্য সচেতনতা কে উড়িয়ে দিয়ে, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করে গড় পূর্নমান দেওয়ার ব্যাবস্থা করছে পর্ষদ। সারা দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থার সাথে যুক্ত আধিকারিকরা কিভাবে নতুন করে পরীক্ষা সহ পঠনপাঠন স্বাভাবিক করা যায় সে সম্পর্কে দিশাহীন,এই অবস্থায় লকডাউন পাঠশালার আয়োজন করে নতুন পথ দেখাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ তৃনমুল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির শিক্ষক শিক্ষিকারা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী অতিমারী ও ঘুর্নিঝড়ের জোড়া ধাক্কা সামলেও বিদ্যালয় ছুটি থাকলেও সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়মিত সম্পূর্ণ বেতনের ব্যাবস্থা করেছেন, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধিও জারি রেখেছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে কুর্নিশ জানিয়ে সারা রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়ে শতাব্দীর ভয়ংকর অতিমারীতে পাশে থেকেছেন পশ্চিমবঙ্গ তৃনমুল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্রের নেতৃত্বে সংগঠন। সচেতনতামূলক কর্মসূচি থেকে রক্তদান, খাদ্য সামগ্রী দিয়ে আম্ফান কবলিত ও করোনা লকডাউনে জর্জরিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সারা রাজ্যে।মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে প্রায় চার কোটি টাকার বেশী অর্থসাহায্য করেছেন এই সংগঠন। অশোক রুদ্র বারেবারে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রাজ্য কমিটি,জেলা কমিটি,চক্র কমিটি থেকে সাধারন শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রতি। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জী লকডাউনে স্থানীয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের আবেদন জানিয়েছিলেন ছাত্র ছাত্রীদের বাড়ীতে পৌঁছে যেতো,এই আবেদনে সাড়া দিয়ে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিনবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কর্মসূচি শুরু করেছে তৃনমুল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি বলে অশোক রুদ্র জানিয়েছেন।

পশ্চিম বর্ধমান জেলাতে হীরাপুর ব্লকের প্রান্তিক আদিবাসী গ্রাম ধেনুয়াতে অশোক রুদ্রের নেতৃত্বে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর একত্রিত হয়ে লকডাউন পাঠশালা এর সূচনা করেছেন এই আদিবাসী অধূষ্যিত এলাকায়। পূর্ব বর্ধমান জেলায় তপন পোড়েল, আবু বক্কর, অনিমেষ গুপ্ত, সচিন সিংহ ও নদীয়া জেলায় জয়ন্ত সাহা, সান্টু ভদ্র, উত্তর দিনাজপুরে গৌরাঙ্গ চৌহান প্রমুখদের উদ্যোগে এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয়েছে লকডাউন পাঠশালা। জঙ্গলমহলের শালবনী ব্লকে প্রান্তিক রাধামোহনপুর আদিবাসী বিদ্যালয়ে নিয়মিত অলচিকি ও বাংলা ভাষায় চলছে লকডাউন পাঠশালা তন্ময় সিংহ ও সহ শিক্ষক শিক্ষিকাদের উদ্যোগে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়ও এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। আবার রাজ্যজুড়ে শিশুদের পুষ্টি সামগ্রী দিয়ে, কখনও খেলাধূলার সামগ্রী দিয়ে এই দীর্ঘ লকডাউনে তাদের মানসিক ও বৌদ্ধিক বিকাশের প্রচেষ্টা চলছে। পশ্চিমবঙ্গ তৃনমুল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র বলেন বিপদের সময় পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এবং অপত্যস্নেহে ছাত্র ছাত্রীদের পাশে থেকে প্রকৃত মাস্টারমশাই হিসাবে উত্তরণ ঘটছে বাংলার শিক্ষক কূলের, তিনি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি তে যেভাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ও শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জী শিক্ষক শিক্ষিকাদের পাশে আছেন তার প্রশংসা করে,রামবাম হাতছানি উপেক্ষা করে প্রকৃত বন্ধু র হাত শক্ত করার আবেদন শিক্ষক সমাজের কাছে করেন। এছাড়াও পাশের রাজ্য বিহারে যেভাবে মিড ডে মিল বন্ধ থাকায় হাহাকার এর খবর আসছে সেখানে নিয়মিত চাল ও আলুর সাথে এবার ডাল ও স্যানিটাইজার দিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের পাশে থাকার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানান