নিজস্ব প্রতিনিধি : লক ডাউনের মধ্যেই অত্যাবশকীয় পন্য কিনতে বাজার ও দোকানগুলিতে যাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে নিয়ম মেনে ক্রেতারা জিনিসপত্র ক্রয় করেন তার নির্দেশিকা জারি করার পাশাপাশি বাজার ও দোকানগুলিতে যৌথ অভিযান চালালো রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ ও রায়গঞ্জ পুর কর্তৃপক্ষ। রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার এবং রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ও ব্যাবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলাজুড়ে লক ডাউন সফল করতে বিশেষ অভিযানে নামে। রায়গঞ্জ পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে সাধারন মানুষকে সচেতন হতে হবে। লক ডাউন সফল করতেই আমরা পুলিশ প্রশাসন বদ্ধপরিকর এবং জনসাধারনের সর্বতোভাবে সহযোগিতা প্রয়োজন। দোকানগুলিতে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে লক ডাউন না ভেঙে জিনিসপত্র ক্রয় করতে হবে।
দেশজুড়ে শুরু হয়েছে লক ডাউন। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লক ডাউন সফল করতে বদ্ধপরিকর এরাজ্যের সরকার। সেই নির্দেশ মতো উত্তর দিনাজপুর জেলায় লক ডাউন সফল করার লক্ষ্যে পথে নামলেন রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার ও তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস। যেসমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং ওষুধ কেনাকাটা করতে সাধারন মানুষ পথে বেড়িয়েছেন তাদের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে জিনিসপত্র ক্রয় করা এবং দোকানদারদের সেই নিয়মের মধ্যে থেকেই জিনিসপত্র বিক্রয় করার নিদান দিলেন রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার। দোকানগুলির সামনে থাকা জায়গায় এক মিটার দূরত্বে সাদা রঙ দিয়ে মার্কিং করে দেওয়া হল। নির্দিষ্ট দূরত্বের ওই মার্কিংএ দাঁড়িয়ে ক্রেতাদের জিনিসপত্র ক্রয় করতে হবে। যাতে একজন মানুষের মধ্যে কোনও সংযোগ না ঘটে। এর পাশাপাশি জিনিসপত্র কেনাকাটা হলেই বাড়িতে ঢুকে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন রাস্তায় অযথা যেসব মানুষ বের হচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যাবস্থা নিচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা। পুলিশের এই উদ্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন রায়গঞ্জ পুরসভাও।