নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা এবং রানাঘাট উত্তর পূর্ব কেন্দ্র বিধানসভার যোগাযোগ মাত্র কয়েকটি বাঁশের তৈরি সাঁকোর উপর! তলা দিয়ে বয়ে গেছে চূর্ণী নদী, যা আবর্জনায় কচুরিপানাতে মজে যাওয়ার ফলে নৌকা চলাচলের উপযোগী জল থাকে না সারা বছর। একমাত্র বর্ষাকালেই নৌকা স্বাভাবিকভাবে যাত্রী পারাপার করে থাকে। বাদ বাকি সময় ভরসা সেই বাঁশের সাঁকো। দুই বিধানসভার বাসিন্দা নিত্য চলাচল করা যাত্রীদের চাষবাস, স্কুল-কলেজ ব্যবসা-বাণিজ্য সবটাই নির্ভর করে গোটা কয়েক বাঁশের উপর। এলাকার নিত্যযাত্রীরা জানান পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে দুটি বাঁশের সাঁকো আজও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। হেটেঁ এপার থেকে ওপারে কোন দোকানে চা খেতে গেলেও পারানির দুটো টাকা নিয়ে বের হতে হয়।
ঘাট ডাক পাওয়া কর্তৃপক্ষ জানান তিন চাকা পর্যন্ত অনুমতি আছে চারচাকার যাতায়াত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সরকারিভাবেই বিডিও অফিসের ডাকা টেন্ডার অনুযায়ী, ঘাট জমা নিয়েছেন তারা।
হাঁসখালি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা মামজোয়ান অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জানান , কিছুদিন আগে জেলা পরিষদে টাকা এসেছে কালভাট নির্মাণের জন্য! কিন্তু ওপারের কিছু দোকানের পুনর্বাসন এবং একটি বিদ্যালয়ের কথা ভেবেই বিঘ্ন ঘটেছে আলোচনায়। তবে এ বিষয়ে বিধায়ক সমীর কুমার পোদ্দার অত্যন্ত তৎপরতার সাথে ওই দোকানদারের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা যায় বিধায়ক সূত্রে। স্থানীয় প্রবীণরা বলেন, কিছুদিন আগেই বর্ষার মধ্যে ভেঙে পড়ে ওই সাঁকোটি,বাঁশের তৈরি তাই আগামীতে আবারও ভাঙবে এটাই স্বাভাবিক। মাপজোপ আলাপচারিতা এ বিষয়ে মিটিং সবই হয়েছে! কাজের কাজটা শুধু হয়নি! দুপারের দুই বিধায়ক দুই দলের হওয়ার কারণে এখন তো আর সম্ভব নয়!