এক বিয়ে বাড়ির ভোজ রাতারাতি রাজ্যের মানচিত্রে আলাদা জ্যায়গা করে দিয়েছে এগরাকে। অসতর্কতার জেরে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা এখন ‘হটস্পট’। আর ঠিক এই কারণেই প্রশাসনিক তৎপরতায় কার্যত দূর্গের চেহারা নিয়েছে গোটা এগরা। সিল করে দেওয়া হয়েছে দুই জেলার বর্ডার। পশ্চিম মেদিনীপুরের জাহালদা থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা মেরে কেটে ১০ কিলোমিটার। তাই কড়া নিরাপত্তা জাহালদা এলাকায়।
ভারী পন্যবাহী লরি থেকে শুরু করে চারচাকা, বাইক, সাইকেল কিংবা পথচারী ছাড়া হচ্ছে না কাউকেই। “এসেন্সিয়াল কমোডিটিজ” এর গাড়ি ছাড়া দুই জেলার মধ্যে যাতায়াত কার্যত বন্ধ। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব কোন অজুহাতেই মিলছে না ছাড়। এমনকি জরুরী পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াতের ক্ষেত্রেও চালক ও খালাসিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে বেশ কয়েক ধাপে। থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পর সবুজ সংকেত পেলেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুরে।
প্রসঙ্গত, এগরায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের বিলাসবহুল বিয়ে বাড়িতে যোগ দিয়েই করোনা সংক্রমিত হয় নয়াবাদের এক প্রৌঢ়। তারপর একে একে বেড়েছে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই করোনার ‘হটস্পট’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে এগরাকে। আর সেই কারণেই চূড়ান্ত প্রশাসনিক তৎপরতা দুই জেলার সীমান্তে।