দেশ জুরে ছরিয়েছে নোভেল করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। ভারতে আরও একজনের দেহে মিলল এই মারণ ভাইরাসের অস্তিত্ব। ফলে বর্তমানে দেশে নোভেল করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াল ৩০ জন। চিন ইতালির মতো এদেশেও করোনা ছড়াতে শুরু করায় চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্য দফতরের কপালে। তাই আর কোনও ঝুকি না নিয়ে শনিবার দেশের সব রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজধানীতে বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধিকর্তারা। মূলত করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিতকরণ, তাঁদের আলাদা রাখা, পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তুলতেই ওই বৈঠক বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে। গাজিয়াবাদে নতুন ১ জনের সংক্রমণের খবর পাওয়ার পরেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে দিল্লি-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়।
নতুন করে সংক্রমণ এড়াতে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দিল্লির সব সরকারি-বেসরকারি প্রাইমারি স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কাশ্মীরে পাঁচ জনের মধ্যে জ্বরের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাঁদের হাসপাতালে আলাদা করে রাখা হয়েছে। একই ভাবে বিশাখাপত্তনম বিমানবন্দরে নামা পাঁচ ভারতীয়ের মধ্যে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি, কেরল থেকে বেঙ্গালুরুতে পড়তে আসা এক ছাত্রের দেহে ওই ভাইরাস সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণ মিলেছে। নজরদারিতে রাখা হয়েছে তাঁকেও। আপাতত ‘ইনারলাইন পারমিট’ দেওয়া বন্ধ রাখছে সিকিম। বেশ কিছু বহুজাতিক সংস্থা কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজের পরামর্শ দিয়েছে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে সংসদেও। নিরাপত্তার জন্য মুখোশ পরে সাংসদ অধিবেশনে আসেন অধিকাংশ সাংসদ।
শুক্রবার সংসদের দু’কক্ষেই করোনাভাইরাস নিয়ে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বক্তৃতা দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। আগামী সপ্তাহে ব্রাসেলেসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠকে যাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। কোনও ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কি না, তা চূড়ান্ত ভাবে জানিয়ে থাকে পুণের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে এই ধাঁচের ১৫টি গবেষণাগার তৈরির কাজ চলছে।