তপন দীঘির পার্শ্ববর্তী জায়গা তৃণমূল নেতৃত্বদের নামে রেজিস্ট্রি হওয়ার ঘটনার তদন্ত চেয়ে আন্দোলনে নামলো বিজেপি, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দিঘীরপাড়ে বিক্ষোভ নেতাকর্মীদের|
দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রাচীনতম মন্দির পার্শ্ববর্তী এলাকায় বেশ কিছু জায়গা তৃণমূল নেতাদের নামে রহস্যজনক ভাবে রেজিস্ট্রি হওয়ার ঘটনাযর তদন্ত চেয়ে আন্দোলনে নামল বিজেপি দল। শুক্রবার সংগঠনের তরফে তপন দিঘির পারে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বেশ কিছু নেতাকর্মী। এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায়, মন্ডল সভাপতি অপূর্ব সরকার, বিদ্যুৎ বর্মন সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। তৃণমূল নেতাদের হাত থেকে ঐতিহ্যবাহী দিঘীকে রক্ষা করতে হবে, হঠাৎ করে দেখি পাশবর্তী এলাকায় কিভাবে প্রচুর পরিমাণ জমি রেজিস্ট্রি হলো তার তদন্ত সহ একাধিক বিষয় তুলে ধরা হয়েছে প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে।
সংগঠনের দাবি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী আপ্তসহায়ক সহ বিধায়ক গৌতম রায়ের আত্মীয় ও অন্যান্য তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের নামে অন্যায় ভাবে জায়গা রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। এতদিন যে জমি দিঘির অংশ হিসাবে xx জানতো হঠাৎ করে তা ব্যক্তিগত সম্পত্তি হলো কি করে তা নিয়েই রহস্য রয়েছে। যা সত্য উদঘাটন করতে বিজেপি লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য সম্প্রতি তপন দিঘি নতুন ভাবে সাজিয়ে তুলতে সংস্কারে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার । ৮৩ একর জায়গায় অবস্থিত দীঘি সংস্কারের জন্য রাজ্য মৎস্য দপ্তর ৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করে । মেদিনীপুরের এক ঠিকাদার সংস্থা ওই কাজ শুরু করে । অভিযোগ কাজ শুরু হতেই দিঘির পার্শ্ববর্তী কিছু জায়গা তৃণমূল নেতারা তাদের নামে রেজিস্ট্রি করিয়ে নিয়েছেন। যা আগে দিঘীর অংশ বলেই জানা ছিল সকলের বলে দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ। যার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামছে বিজেপি নেতৃত্বরা।
বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায় জানিয়েছেন, আমরা সকলে এতদিন যে জায়গা দিঘির অংশে বলে জানতাম হঠাৎ করে তৃণমূলের একাংশ ওই সম্পত্তি নিজেদের নামে রেজিস্ট্রি করে নিয়েছেন। সম্পূর্ণ রহস্যজনক এই ঘটনায় দুর্নীতির ছায়া স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্বরা। সঠিক তদন্ত করতেই আন্দোলনে নামা হয়েছে।