বালুরঘাট, চক্রান্ত করে তপন দীঘির পার্শ্ববর্তী এলাকা দখলের অভিযোগ তুলে ধিক্কার মিছিল করল বিজেপি দল। সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন করে তৃণমূল নেতাদের নামে রেজিস্ট্রি হওয়ার ঘটনার অভিযোগের তদন্ত চেয়ে বিএলআরও’কে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে সংগঠনের তরফে। সোমবার জেলা পরিষদের ১২, ১৩ এবং ১৪ নম্বর মণ্ডল কমিটির ডাকে ওই মিছিলে হাঁটেন প্রচুর কর্মী সমর্থক। জেলা বিজেপি সভাপতি বিনয় বর্মনের নেতৃত্বে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের অভিযোগ, শুধু তপন দিঘির পার্শ্ববর্তী এলাকায় নয় জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর সরকারি সম্পত্তি নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ যেখানে আবেদন করে দিনের পর দিন রেকর্ড পাচ্ছেন না সেখানে টাকার বিনিময়ে তৃণমূল মাফিয়ারা নিজেদের নামে জমি লিখে নিচ্ছেন। এমন সব ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বিএলআরও’কে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য সম্প্রতি বালুরঘাটে অনলাইনে এক সাংবাদিক বৈঠক করে তপন দিঘীর পার্শ্ববর্তী জমি হস্তান্তর হওয়ার ঘটনায় অনিয়মের অভিযোগ তোলেন বিজেপি সাংসদ। রাতারাতি সেই জমি ১০ তৃণমূল নেতার নামে সমপরিমানে রেকর্ড হল কিভাবে সেই প্রশ্নও তোলা হয়। তৃণমূল নেতা তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাসদা ও বিধায়ক গৌতম দাসের ঘনিষ্ঠরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এমন কাজ করেছে বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি। যার পরেই ওই তালিকায় থাকা দশ জনের বিরুদ্ধেই অবৈধভাবে প্রাচীন তপন দিঘির জমি হস্তান্তরের অভিযোগ তুলে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। যদিও তৃণমূলের দাবি কোন সরকারি সম্পত্তি নয়, রায়তি সম্পত্তি হিসাবেই ওই জমি এক মহিলার কাছ থেকে কিনেছিলেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠরা। কিন্তু যে মহিলার কাছে ওই জমি কিনেছিলেন বলে দাবি করেছিল তৃণমূল নেতারা, সেই মহিলার দুমাস আগেই মৃত্যু হয়েছে। যার শংসাপত্র দেখিয়েই লাগামহীন এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তুমুল সরব হয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ। যে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো আলোড়ন তৈরি হয়েছে জেলাজুড়ে।
এদিন সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবেই তপনে ধিক্কার মিছিল করেন বিজেপি নেতৃত্বরা। বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন জানিয়েছেন, অবৈধভাবে সরকারি সম্পত্তি নিজেদের নামে করে নিয়েছেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠরা। এমনসব আরও একাধিক ঘটনার তদন্তের দাবিতে বিএলআরও’কে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
তপন ব্লকের বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা জানিয়েছেন, জমি রেজিস্ট্রি বিষয়টি বিএলআরও ভালো বলতে পারবেন। সে বিষয়ে তার কোন মন্তব্য নেই। তবে ব্যক্তিগত সম্পত্তি কিনেছেন তৃণমূল কর্মীরা। সাংসদ মিথ্যা অভিযোগ তুলে প্রচার করতে চাইছেন।