একের পর এক করোনা আক্রান্তের কথা শোনা যাচ্ছে হুগলি জেলার চন্দননগরে। গত দুদিন আগে জানা গিয়েছে, চন্দনগর উর্দি বাজার এলাকায় দুজনের শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। এরপর রবিবার রাতে চন্দননগর তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতির করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এই ঘটনা উঠে আসতেই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে চন্দননগর বাসীদের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত তৃণমূল নেতা দিনের বেশিরভাগ সময়টাই মহকুমা হাসপাতালে কাটাতেন। তবে তার সংস্পর্শে আসা ৭০ জনকে সরকারি কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন হুগলি জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। সাথে জানা গিয়েছ, চন্দননগর হাসপাতালে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে। সাথে ইতিমধ্যেই ৫০ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
করোনা আক্রান্ত ওই তৃণমূল নেতা গত কয়েকদিন আগে বাড়ি বাড়ি ঘুরে এান বিলি করেছেন বলে শোনা যায়। অর্থাৎ এই কয়েকদিন তিনি এত মানুষের জনসংযোগে এসেছিলেন যে তার সংস্পর্শে আসা লোকেদের তালিকা করতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। এতদিন পর্যন্ত হুগলি জেলায় বিভিন্ন জায়গায় শোনা গিয়েছিল করোনা আক্রান্তের কথা কিন্তু সেই তালিকা থেকে বাদ ছিল চন্দননগরের নাম। এবার করোনা থাবা বসিয়েছে খোদ চন্দননগরে।
পরপর কয়েকজনের করোনা আক্রান্তের খবর উঠে আসায় চন্দননগরের আতঙ্কিত এলাকাবাসী। সূত্রের খবর, দুদিন আগে চন্দননগর উর্দি বাজারে করোনা আক্রান্ত হয়েছিল স্বামী-স্ত্রী উভয়েই। বর্তমানে তাদের কলকাতা বেলেঘাটা আইডি তে ভর্তি করা হয়েছে।