রায়গঞ্জ শহরের সুদর্শনপুর এলাকায় এক ছাত্রীর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় ঘটনায় আক্রান্তের বাড়ি চত্বর কন্টেইনমেন জোন ঘোষনা করার পাশাপাশি তাদের খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধপত্র সরবরাহের দায়িত্ব হাতে নিল রায়গঞ্জ পুরসভা কর্তৃপক্ষ। রবিবার কোভিড আক্রান্ত সুদর্শনপুর ওই এলাকায় রায়গঞ্জ পুর কর্তৃপক্ষ, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং রায়গঞ্জ থানার পুলিশ টিম গিয়ে সরোজমিনে খতিয়ে দেখে এই সিদ্ধান্ত নেন। পাশাপাশি ওই পরিবারের প্রাথমিক সংস্পর্শে থাকা মানুষদের ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। পুরসভার পক্ষ থেকে এদিন ওই এলাকার বাসিন্দাদের থার্মাল স্ক্রিনিংও করা হয়েছে।
এই প্রথম রায়গঞ্জ শহরে করোনার থাবা বসানোয় সতর্কতামূলক ব্যাবস্থা হিসেবে আক্রান্ত ছাত্রীর পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ায় রায়গঞ্জ পুর কর্তৃপক্ষ, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ও রায়গঞ্জ থানা। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল বরুন ব্যানার্জী, জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ দেবাশীষ মন্ডল, রায়গঞ্জ থানার আই সি সুরজ থাপা। রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, আক্রান্ত ছাত্রীর পরিবার ও বাড়িটি কন্টেইনমেন জোন হিসেবে চিহ্নিত করার পাশাপাশি ওই পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব পুরসভা কর্তৃপক্ষ কাঁধে তুলে নিয়েছে। খাদ্যসামগ্রী থেকে ওষুধপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও ওই পরিবারের সাথে প্রাথমিক সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আগামী সাতদিন পরে সন্দেহজনক কিছু দেখা দিলে ওইসব বাসিন্দাদের লালারস পরীক্ষা করা হবে।