‘শর্মাজি নমকিন, ‘দ্য ইন্টার্ন’-এর কাজ অসমাপ্ত রেখেই পরজগতে পারি দিলেন অভিনেতা। মানুষ হিসাবে বড় মনের ছিলেন তিনি। দিন কয়েক আগে লকডাউন যাতে দেশের নাগরিকরা ঠিকভাবে পালন করেন, দেশে জরুরী অবস্থা চালু করার আরজিও টুইট করে তিনি জানিয়েছিলেন। যিনি কিনা দেশের জন্যেও ভাবতেন, তার প্রয়াণে যেন কেউ লকডাউন ভেঙে শেষ যাত্রায় শামিল না হন, সেই আরজিই জানানো হয়েছে কাপুর পরিবারের তরফে। এছাড়াও কাপুর পরিবার থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, “ওঁর মৃত্যুর পর চোখের জল নয়, ওঁকে হাসি মুখে মনে করলেই সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন ঋষি। ব্যক্তিগত এই শোকের মধ্যেও আমরা সবাইকে একটাই অনুরোধ করব, সারা দুনিয়া যে সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা মাথায় রাখবেন এবং আইন অনুযায়ী চলবেন। উনিও তাই চাইতেন”। পাশাপাশি ঋষির প্রয়াণে শোকবার্তা জানিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী টুইটে জানিয়েছেন, “বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, স্নেহময় এবং প্রাণোচ্ছ্বল, এমনটাই ছিলেন ঋষি কাপুর’জি। প্রতিভাবান একজন মানুষ। ওঁর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার কথোপকথন মনে থাকবে চিরকাল। তিনি সিনেমাজগত ও দেশের অগ্রগতির কথা ভাবতেন। তাঁর মৃত্যু ভীষণই বেদনাময়। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল।” অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “এই খবরে আমি হতবাক! দুঃখিতও। সিনেদুনিয়ার আইকনিক চরিত্র এবং বহুমুখী প্রতিভের অধিকারী একজন। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন অভিনেতা। ১৫০টিরও বেশি ছবিতে তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি। নিজের অসুস্থতাকেও সেভাবে কোনও দিন প্রকাশ্যে আসতে দেননি। তাঁর পরিবার, বন্ধু, ভক্ত-সহ গোটা চলচ্চিত্র জগতের সমস্ত মানুষের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।” পাশাপাশি শোকপ্রকাশ করেছেন রাহুল গান্ধীও।