পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সৈকত শহর দিঘাতে যে কোনও সময় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা জানার পরেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন উদ্যোগী হয় উপকূল ভাগের মানুষ এবং মৎস্য জীবীদের সতর্ক করতে। এবার সেই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ল এনডিআরএফ। সোমবার সকালে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসকিউ ফোর্সের একটি দল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সৈকত শহর দিঘাতে এসে পৌঁছয়। দিঘা থানা ও দিঘা মোহনা থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এদিন রামনগর এক ব্লকের উপকূলীয় বিভিন্ন প্রান্তে সতর্কতা মূলক প্রচার চালায় এই দল। অন্য দিকে দিঘার থানার অন্তর্গত দত্তপুর, গদাধরপুর, নতুন দিঘা অন্যদিকে দিঘা মোহনা থানার অন্তর্গত গঙ্গাধরপুর, পূর্ব মুকুন্দপুর, ঘেরসাই প্রভৃতি এলাকায় গিয়ে দফায়-দফায় মাইকিং করে মানুষদের সতর্ক করে এই দল।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকা বিলায় কী করা প্রয়োজন এবং কী করা প্রয়োজন নয়, সেই বিষয় বাড়ি বাড়ি ঘুরে মানুষদের সচেতন করা হয় এনডিআরএফ-এর তরফে। উল্লেখ্য, রামনগররের মহকুমা শাসক ও রামনগর এক ব্লকের বিডিও বিভিন্ন ফ্লাড সেন্টার গুলো পরিদর্শন করেন। অপর দিকে রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মহাপাত্র দিঘা, তাজপুর, জামড়া, শংকরপুর, জলধা এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হওয়ার বার্তা দেন। প্রশাসন সর্বদা প্রস্তুত ঘূর্ণিঝড় মোকা বিলায়। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে আমফানের প্রভাবে আাগামী কয়েক দিন সমুদ্র উত্তাল হওয়ার পাশাপাশি প্রবল ঝড়ো হাওয়া-সহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দিঘা থানা ও মোহনা থানার পক্ষে মাইকিং করা হয়। মানুষ জনকে সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। মৎস্য জীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
সমুদ্র এলাকায় গ্রাম গুলোতেও সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। যদিও লকডাউনের ফলে দিঘা প্রায় জন শূন্য, তবুও প্রশাসন সব রকম বিপদের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আরো জানা যায় ‘শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আমফান এখন বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ ভাগে অবস্থান করছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শক্তি বাড়িয়ে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান মিটিওরোলজিকাল ডিপার্টমেন্ট। আমফানের সর্তকতা জারি হল সমুদ্র উপকূল এলাকায়। এর ফলে আাগামী কয়েক দিন সমুদ্র উত্তাল হওয়ার পাশাপাশি প্রবল ঝড়ো হাওয়া-সহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।