নিজস্ব সংবাদদাতা পূর্ব মেদিনীপুর:- অপরাধ করেছে ছেলে, ছেলেকে না পাওয়া গেলে ছেলের বাবাকে ধরা, সেটা পর্যন্ত ঠিক ছিলো। কিন্ত সেই মুহূর্তে ছেলের বাবা নেই তাহলে ছেলের কাকা তো আছে তাকেই ধরে নিয়েচল। কারন সরকার বাহাদুরের কাছে হাজিরা দেখাতে হবে কাউকে এক জনকে। আর সেই নিরহ কাকাকে পুলিশে অত্যচারে মৃত্যু হলো এমমটা অভিযোগ মৃতোর পরিবারের। এমনই বিরল ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ১ ব্লকের পটাশপুর থানার কনকপুর গ্রামে। এলাকার যুবক কিশোর ঘোড়ই কয়েক মাস আগে পাশের বাসুদের পুর এলাকার ধনী গৌরাঙ্গ পাখুরিয়ার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে। আগে থেকে ছেলে ও মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানাযায়। মেয়ের বাড়ির তরফ থেকে থেকে পটাশপুর থানায় অভিযোগ করা হয়। ছেলের পরিবারের একমাত্র থাকা মা ও পালিয়ে যায়। দীর্ঘ খোঁজা খোঁজির পর মা ছেলেকে না পেয়ে, আলাদা করে থাকা ছেলের কাকা মদন কুমার ঘোড়ই কে পুলিশ তুলে নিয়ে যায় গত ২৬ শে সেপ্টম্বর। অভিযোগ মদনকে পুলিশ হেপাজতে ব্যাপক মারধর করা হয় তার জেরেই মৃত্যু হয়। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ থেকে খবর দেওয়া হয় মদন কুমার ঘোড়ই মারা গিয়েছে। ঘটনার গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। অন্য দিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। পরিবার ও গ্রামবাসীর অভিযোগ মেয়ের পরিবারের বাবা আত্মীরা ধনী হওয়ায় পুলিশ টাকা খেয়ে এই কাজ করেছে। অপর দিকে বিজেপির অভিযোগ ছেলে ও তার কাকা বিজেপি করতো এমন কি খুব গরিব, মেয়ের পরিবার তৃনমুল করে ধনী পরিবার তাই পুলিশকে কাজে লাগিয়ে এমন কাজ করেছে বলে অভিযোগ। যদিও বিষয়টি পরিবারের ও তৃনমুলের থেকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। পাল্টা বক্তব্য এটা নিয়ে বিজেপি মিথ্যা রাজনীতি করছে আইন আইনি প্রক্রিয়ায় চলবে, আর এই খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তেই যথেষ্ট শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকাজুড়ে।