অক্সিজেন সিলিন্ডারের প্রয়োজনীয়তার কথা সবার জানা। কিন্তু এই অতি প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়েই বিভিন্ন জায়গায় চলছে ব্যাপক কালোবাজারি। কলকাতার মতো জায়গায় দিনে দুপুরে নির্ভয়ে এই কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী। কলকাতার সরসুনা স্যাটেলাইট টাউনশিপ এলাকার হো চি মিন সরণির প্রাপ্তি কেয়ার অ্যান্ড কিউর নামের একটি ওষুধ দোকানে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে এরকমই কালোবাজারি চলছে।
সূত্র থেকে জানা গেছে যে, এক ব্যাক্তির পোষ্য কুকুরটি বিগত 2-3 দিন ধরে অসুস্থ ছিল। ইনফেকশন হয়ে যাওয়ায় স্যালাইন, অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় ডাক্তার অক্সিজেন দেওয়ার কথা বলেন। সেইমতো কুকুরটির মালিক তিন হাজার টাকা দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার আনতে দোকানে পাঠালে দোকানদার একটি সেকেন্ড হ্যান্ড সিলিন্ডারের জন্য সাড়ে এগারো হাজার টাকা চান। দোকানদারকে বারবার অনুরোধ করা যে , “আপনি সিলিন্ডারটা দিয়ে দিলে কুকুরটি বেঁচে যাবে। আমরা কলকাতা পুলিশের স্টাফ। আমরা এখানেই দাঁড়িয়ে থাকছি। সিলিন্ডারটা দিয়ে দিন। সিলিন্ডারটা দিয়ে এসেই টাকাটা দিয়ে দিচ্ছি। আমরা দাঁড়িয়ে আছি, টাকা না দিয়ে যাব না। এমনকি দোকানের মালিককে পুলিশের আইকার্ডও দেখানো হয়। কিন্তু দোকানদারের বক্তব্য ছিলো,” আপনি যাই হোন, যত ভিআইপিই হোন এমনকি মুখ্যমন্ত্রী হলেও টাকা না দিলে মাল দেবো না।” দোকানদারের এই অমানবিক আচরণের জন্য আবার এসে টাকা নিয়ে যাওয়ার সময়ই মৃত্যু হয় কুকুরটির।
এই প্রসঙ্গে দোকানের মালিকের সাথে কথা হলে উনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন যে, “আমাদের কাছে অক্সিজেন সিলিন্ডারই নেই। সকাল থেকে অনেককে নেই বলে ফিরিয়ে দিয়েছি। কাল বিকেল থেকে মাল নেই। 7 দিন ধরে সিলিন্ডার আসছে না।” সূত্র থেকে জানা গেছে যে, ওনার দোকানের সামনেই নামানো রয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার। মহামারীর মতো পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্ত হলে যেকোনো মুহূর্তেই শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে। প্রয়োজন পড়তে পারে অক্সিজেনের। অত্যন্ত জরুরী জীবনদায়ী অক্সিজেন সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য করতে এই কালোবাজারির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা আছে।