April 19, 2024

TV Bangla New Agency

Just another WordPress site

বোন কে স্বামীর অত্যাচার থেকে বাচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয় দাদা এবং ভাই

গত ১০ই জুলাই বোন কে স্বামীর অত্যাচার থেকে বাচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয় দাদা এবং ভাই। দাদার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগায়, দাদার এক হাত এবং এক পা অকেজো হয়ে গেছে। দোষীদের গ্রেপ্তার এবং ক্ষতিপূরণ এর দাবিতে সরব হল আক্রান্তের পরিবার। মাল ব্লকের ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘীস বস্তি এলাকার ঘটনা।

আহতদের ভাই মহম্মদ কাদের বলেন, আমার দিদির ২০ বছর আগে বিয়ে হয় দক্ষিন ওদলাবাড়ির শোভা কলনীর জলিল মহম্মদের সঙ্গে। বেশ কয়েক বছর ধরে আমার বোন (ঝর্না বেগম-৩১) কে মারধর করতো তার স্বামী। বহুবার বৈঠক এবং আলোচনা করেও সমস্যার সমাধান হয় নি। গত ৯ ই জুলাই আবার বোনকে মেরেছে শুনে ১০ই জুলাই সকালে আমি, দাদা(মহম্মদ ঝোড়ু) সহ তিন জন বোনের বাড়ি যাই। বাড়িতে যাওয়া মাত্র আমাদের ওপর চড়াও হয় বোনের শশুরবাড়ির লোকজন। আমাদের লাঠিসোঁটা, সাইকেলের চেন দিয়ে মারে। আমার দাদার (মহম্মদ ঝোড়ু)মাথায় বোনের জামাই জালিল মহম্মদ হাতুড়ি দিয়ে প্রচন্ড জোড়ে মাড়ে। এরপর আমার দাদাকে কোন মতে মাল ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং অবস্থা খারাপ হওয়ায় শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করি। ঋন নিয়ে প্রায় তিন লক্ষ টাকা খরচ করে দাদার মাথায় অপারেশন করা হয়। বর্তমানে দাদার বাম হাত এবং বাম পা অসার হয়ে গেছে। এই অবস্থায় বোনের শশুর বাড়ির পাচ জোনের নামে থানায় অভিযোগ জানাই। শুধুমাত্র এক জন ধরা পড়েছে কিন্তু বাকিরা এখনো গ্রেপ্তার হয় নি। অবিলম্বে বাকিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এবং আমার দাদার ক্ষতিপুরন দিতে হবে।

এব্যারে আহতের বোন ঝর্না বেগম বলেন, আমার ওপর দীর্ঘদিন ধরে স্বামী অত্যাচার করতো। সেদিন দাদারা বাড়িতে গেলে, শশুর বাড়ির লোকজন এবং স্বামী দাদাদের মারধোর করে। আমি অভিযুক্তদের শাস্তি চাই।

এব্যাপারে অভিযুক্ত জালিল মহম্মদের বৌদি আমিনা খাতুন বলেন, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা সবারই হয়। গত ১০ই জুলাই ঝর্না বেগমের দাদা লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে আমাদের বাড়িতে আসে। এসেই আমার দেওর জলিল মহম্মদকে হাত পা বেধে মারতে শুরু করে। আশেপাশের লোকজন সেই সময় চলে আসে। হঠাৎ আমার দেওর কোন ভাবে হাতুরি দিয়ে ওর বৌ এর দাদার মাথায় আঘাত করে। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছে শুনেছি। এতে আমাদের বাড়ির বেশ কয়েকজনের নামে থানায় অভিযোগ হয়েছে শুনেছি কিন্তু অনেকেই সেই সময় বাড়ি ছিলো না, তাও থানায় অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ বারে বারে বাড়িতে আসছে। এতে আমরা আতঙ্কিত।

তবে ঝর্না বেগম, তার শশুর বাড়ির অভিযোগ অস্বিকার করেছে। তার বক্তব্য শশুরবাড়ির লোকজন সব মিথ্যে কথা বলছে। অবিলম্বে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।