April 25, 2024

TV Bangla New Agency

Just another WordPress site

৫০ শয্যাবিশিষ্ট সেফ হোম চালু করলো রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ

করোনা অতিমারী পরিস্থিতিতে এবার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল বেলুড় মঠ রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট সেফ হোম চালু হল আজ থেকে। আজ মঙ্গলবার ১ জুন থেকে তা চালু করা হল। কোভিড মোকাবেলায় সেফ হোম চালু করার কথা বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ আগেই ঘোষণা করেছিল। আজ পয়লা জুন মঙ্গলবার থেকে তা চালু হল। এর আগে শনিবার মঠের নিয়ম মেনে শ্রীশ্রীঠাকুর এবং শ্রীশ্রীমাকে পূজা নিবেদন করে এর আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছিল। রোগী আসা শুরু হয়েছে আজ পয়লা জুন মঙ্গলবার থেকে। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নির্মিত এই সেফ হোম বেলুড় এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সাধারণ মানুষের কাছে এক বিশাল প্রাপ্তি বলে মনে করা হচ্ছে। এখানে রয়েছে অক্সিজেনের সুব্যবস্থা। মঠের পলিটেকনিক কলেজ ক্যাম্পাসে এই সেফ হোম চালু হয়েছে। ক্লাস রুম, প্রার্থনা কক্ষকে এই কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। সেমিনার হলকেও এই কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।আপাতত ৬ মাসের জন্য এই সেফ হোম করা হয়েছে। উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীদের এখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার মতো অবস্থায় না থাকা করোনা রোগীদের জন্যই এই সেফ হোম চালু করেছে রামকৃষ্ণ মিশন বেলুড় মঠ। শিল্পমন্দির পলিটেকনিক ক্যাম্পাসের ভিতরে হয়েছে এই সেফ হোম। আগে করোনায় যারা আক্রান্ত হয়েছেন, আবার তারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কিংবা করোনায় গুরুতর অসুস্থ নয় এমন রোগীদের জন্য এই সেফ হোমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সেফ হোমটি বেলুড়, বালি এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। রামকৃষ্ণ মিশন বেলুড় মঠের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছয় মাসের জন্য চালু রাখা হবে। মঠের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বহু করোনা রোগীকে চিকিৎসকেরা বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকতে নির্দেশ দিয়ে থাকেন। তাঁদের মধ্যে অনেকই আছেন যাদের বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার মতো উপযুক্ত পরিবেশ নেই, পরিকাঠামোও নেই। তাঁরা একটি মাত্র ছোট ঘরে অনেকে থাকেন। এতে পরিবারের বাকি সদস্যদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়। তাঁদের ক্ষেত্রে এই সেফ হোম প্রয়োজনীয় এবং তাদের সমস্যা অনেকটাই সমাধান করবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সেফ হোমে ভর্তি থাকাকালীন কেউ যদি গুরুতর অসুস্থ হন তাঁকে সরকারি কোনও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে।