নোবেল করোনা ভাইরাসের দাপটে দেশজুড়ে যে হারে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা তাতে এবার প্রয়োজনের তুলনায় অভাব দেখা দিয়েছে আইসোলেশন সেন্টারের৷সেই চাহিদা মেটাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কয়েকটি রেলের কামরাকে করে তোলা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। প্রথম পর্যায়ের 338 টি কোচে তৈরি হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড৷
রেলের কামড়ায় এই আইসোলেশন কোচগুলি তৈরি করা হচ্ছে টিকিয়াপাড়া কোচিং ইয়ার্ডে এবং লিলুয়া ওয়ার্কশপে৷ জানা গিয়েছে, এখনো পর্যন্ত পাঁচটি কোচ সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়ে গিয়েছে৷সাথে এই কোচগুলির সুরক্ষার জন্য জানালাগুলিতে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে যাতে মশা বা কোন পোকা ঢুকতে না পারে৷ সাথে রোগীদের শোয়ার বা বসার যাতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য চাদর বালিশ দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। প্রয়োজনানুযায়ী বাড়ানো হয়েছে বাথরুমের সংখ্যা ৷ আর এই আইসোলেশন ওয়ার্ডগুলিকে জীবাণুমুক্ত রাখার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে প্রতিমুহূর্তে৷
ট্রেনের এই আইসোলেশন কোচগুলি প্ল্যাটফর্ম থেকে কিছুটা দূরে রাখা হবে এবং এখানে ডাক্তার ও নার্সদের জন্য প্রথম দুটো আসন রাখা হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহতে যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেদিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে৷ আগামী 14 এপ্রিলের মধ্যে আইসোলেশন কোচগুলি তৈরি হয়ে যাবে বলে পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে৷ এক একটি কোচে 8 থেকে 10 জন রোগীকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা যায়৷ ক্রমশ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে রেলের তরফ থেকে৷