সল্টলেক AJ ব্লকের ২২৬ নম্বর বাড়ি থেকে এক ব্যক্তির পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনাস্থলে বিধান নগর পূর্ব থানা ও বিধান নগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পাশাপাশি ফরেন্সিক আধিকারিকরাও এসে পৌঁছেছে। বাড়ি থেকে মৃতদেহ বের করা হচ্ছে ময়নাতদন্তে নিয়ে যাওয়া হবে। এটা নিছকই খুন, আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনা সেই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।
পুলিশ সূত্র মারফত খবর, অনিল কুমার মহেশ্বরী তার নিজের স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় তিনি এজে ব্লকের বাড়ি ছেড়ে দেন । বাড়ি ছেড়ে দেবার পর থেকে 2019 সাল থেকে তিনি রাজারহাটে থাকতেন । 29 অক্টোবর 2020 সালে অনিল বাবু জানতে পারে ওনার স্ত্রী গীতা তার তিন সন্তান কে নিয়ে মায়ের কাছে চলে গিয়েছেন। 30 শে নভেম্বর অনিল বাবু জানতে পারেন যে ওনার বড় ছেলে অর্জুন ওর মায়ের সাথে থাকেনা তার পরবর্তীকালে উনার স্ত্রীর সাথে কথা হলে তার স্ত্রী জানান উনার তিন সন্তান ওনার সাথেই আছে । কিন্তু সন্দেহ হওয়াতে অনিল বাবু বিধান নগর পুলিশ একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে বলো ছেলের নামে বিধান নগর পূর্ব থানা তে। সেইমতো তদন্ত শুরু করে বিধান নগর পূর্ব থানার পুলিশ এবং বিধান নগর গোয়েন্দা শাখা। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে অনিল বাবু স্ত্রী গীতা দেবি শ্যামবাজারের তার কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে আছে । সেখানে গিয়ে তাকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পরে তাকে নিয়ে সল্টলেকের এজে ব্লকের বাড়িতে দরজা খুলে একটি পচা গলা দেহ কঙ্কাল অবস্থায় পড়ে আছে । গীতা দেবী কে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে বিধান নগর পূর্ব থানার পুলিশ । মৃত্যুর পেছনে অনেকগুলি প্রশ্ন আছে যা তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা।